Birthday Celebration
Birthday Celebration
দিনটা মোটেও সাধারন একটা দিন নয়। আর কেনই বা সাধারন হবে? এক বছরে মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকে?
এই দিনটা শুরু হয় রাত বারোটা থেকে । আমারো তাই হল। ঠিক বারোটাতে এক সাথে কনফারেন্স এ রানা,হৃদয় , মুসা, খালেদ, ছোটন, সম্রাট, বিশাল আরও কয়েক জন এক সাথে ফোন দিলো ,আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন রাখলো। আর এর মধ্যেই মহসিনের ফোন পেলাম। মহসিন আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। ওর ফোন পেয়ে অনেক খুশি হলাম। তার পর ইনবক্স এ গেলাম কাওসার, সুহান, ইমানুল, ফাহাদ, ফাহিম, সাম্মু, হাইদার, জোয়ার, রিয়াজ, আরও অনেকের টেক্স পেলাম। বড় ভাই পলাশ আবার সেই দিন রাতে ইতালি থেকে কল করেছিল ফোন ধরে চমকে উঠলাম । এই পযন্ত প্রায় ৩৫ জনের মত বন্ধু বার্থডে উইশ করেছে!! অনেক অনেক ভালো লাগলো সবার সাথে কথা বলে । ইতিমধ্যে আমার ফোনের ইনবক্স ভরে গেছে নটিফিকেশনে। প্রতিটা নটিফিকেশন দেখছি, ভালো লাগছে ।
সারারাত ঘুমাতে পারলাম না। একটু ঘুম লাগে, আর একটা নটিফিকেশন আসে । ফেসবুক ওয়ালে হ্যপি বার্থডে লিখলো অনেকেই । সেইদিনই আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বেশী বার্থডে উইশ পেলাম…
দেখতে দেখতে সকাল হয়ে গেল। উঠে গেলাম কিচেনে, বুয়া রুটি বানিয়ে রেখেছে, একটা ডিম ভাজতে বলাম । আর এই ফাকে গোসল করে নিলাম। এসে রুটি- ডিম ভাজি খেয়ে আস্তে আস্তে কলেজের দিকে রওনা দিলাম। ইউসুফ ভাই-এর দোকানের পাশে থাকতেই হৃদয় ফোন দিলো। আমাকে কে কে এর সামনে দাড়াঁতে বলল । তারপর হৃদয়-এর গাড়িতে করে কলেজে গেলাম। তারপর রানা কল করে বলল কলেজের সামনে দাড়াঁতে,আমি বললাম হুম, আয়।
আমি, সম্রাট, রানা, হৃদয়, ছোটন, খালেদ,ফাহিম,বিশাল, সাম্মু, নাভিদ, নিয়ন আরও কয়েক জন ছিলাম একসাথে ক্লাস ফাঁকি দিতাম। কলেজে আমাদের সবাই অনেক ভয় পেত । আমাদের সাথে আবার কমাস এর মুসলিম, অয়ন,তানবির, আসিক আরও অনেকেই ছিল। আমাদের স্কুল এন্ড কলেজের সবাই আমাদেরকে ভালভাবেই চিনতো , কারণ আমরা সবাই ছিলাম অনেক ফাঁকিবাজ। সবসময় আড্ডাই মেতে থাকতাম,আমরা কলেজের কোনও আইন মানতাম না। যাই হউক এবার আমার বার্থডেতে ফিরে যাই ।
সেইদিন ক্লাস শেষ-এ আমি রনি,খালেদ, সম্রাট, রিয়াজ, ছোটন, বিশাল,হাইদার, মুসা, জোয়ার, রানা, হৃদয় আরে কয়েক জন তাজমহল রোডে আসলাম । সাকুরাতে ডুকলাম সবাই এক সাথে আমার বার্থডে পালন করল। আমার সেইদিন বার্থডেতে রানা আর রিদয়ের অবদান অনেক বেশী ।
আমাকে প্রথম গিফটটা দিলো সৃষ্টিকর্তা, অনেক বড় একটা গিফট। মনে হয় সবচেয়ে মুল্যবান বার্থডে গিফট। আরো অনেক অনেক অনেক বেশী খুশি হলাম, কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। আমি কেক কাটলাম :p সবাই মিলে কেক খেলাম। সত্যি কথা বলতে কি, অনেক খিদা লাগছিলো,তারপর যে যার বাসাই যাব।
কিছুক্ষন পর রানা বললো, চল বন্ধুরা চা-র দোকানে যাই।মোহাম্মাদপুরে তে আমাদের যতগুলো পছন্দের জায়গা আছে, তার মধ্যে চা-র দোকান একটা, আমাদের প্রতিদিন বিকেলের আড্ডা জায়গা । তাই রানার কথায় রাজি হয়ে গেলাম। বললাম, চল। আমি খালেদ,মুসা, হৃদয়, বিশাল, সম্রাট আর ছোটন। বেলা ৬ টাই সবাই চলে গেল ।
……মধ্যে অনেক কাহিনী লেখা হইনি আমার স্কুল বন্ধুদের কথা ও আরও অনেকের কথা…আমার কলেজের বন্ধুদের সাথে ২০১১ তে আমার বার্থডে পালন করেছিলাম..
২০ তারিখ রাত ৩ টা ২১। আমার নোট লেখা এইমাত্র শেষ হল। ১৯ এপ্রিল ২০১১ , দিনটা সারাদিন মনে থাকবে। আর ধন্যবাদ রানা, হৃদয়, মুসা, বিশাল…আর জোয়ার কে। আমার স্রিতিত অনেক সুন্দর অংশগুলোর মধ্যে এই দিনটা অনেক বেশী করে মনে থাকবে..